৫ দিনে $3,781 আয় – Solo অ্যাডস দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেস স্টাডি (Warrior+ প্রমাণসহ)

আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো আমার নিজের একটি কেস স্টাডি, যেখানে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে একটি প্রোডাক্ট প্রোমোট করেছি। কিভাবে প্রোমোট করেছি, কোন প্রোডাক্ট ছিল সেটা, কোন ট্র্যাফিক সোর্স ব্যবহার করেছি, কত টাকা ইনভেস্ট করেছি, কী রেজাল্ট এসেছে—সবকিছু এই পোস্টে বিস্তারিত বলব।


 শুরুটা কোথা থেকে?

অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন কিন্তু মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন, কারণ প্রথম দিকে রেজাল্ট পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। আমারও একই অভিজ্ঞতা ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলাম, এই ব্যবসায় সফল হতে হলে অডিয়েন্স বিল্ডিং আর ইমেল মার্কেটিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


 কোন ট্র্যাফিক ব্যবহার করেছি?

গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, নেটিভ অ্যাডস—সবকিছু ট্রাই করার পর যেটাকে আমি বেস্ট মনে করেছি সেটা হলো Solo Ads

👉 সলো অ্যাড মানে হচ্ছে – এমন কিছু ইমেল লিস্ট ওনার আছে, যাদের কাছে লাখ লাখ ইমেল সাবস্ক্রাইবার থাকে। তারা আমাদের প্রোডাক্টের অফার সেই ইমেল লিস্টে পাঠায়, আর সেখান থেকে আমরা ক্লিক পাই।
👉 এই ট্র্যাফিক সাধারণত “nurtured audience” হয়, মানে তারা ইতিমধ্যেই এ ধরণের অফারে আগ্রহী। তাই কনভার্সনের সম্ভাবনা অনেক বেশি।


📩 ফানেল ও ইমেল লিস্ট বিল্ডিং

ডিরেক্ট অফারে ট্র্যাফিক পাঠালে খুব কম সেলস আসে। তাই আমি ব্যবহার করেছি অপ্ট-ইন ফানেল

  • প্রথমে একটি অপ্ট-ইন পেজ বানিয়েছি যেখানে ভিজিটররা ইমেল সাবমিট করেছে।

  • সেই ইমেল গিয়েছে আমার অটো-রেসপন্ডার সফটওয়্যারে

  • সাবস্ক্রাইব করার পর ভিজিটররা গেছে থ্যাঙ্ক ইউ পেজে, আর সেখান থেকে প্রোডাক্টের লিঙ্কে।

  • পরবর্তীতে আমি তাদেরকে অটোমেটেড ফলো-আপ ইমেল পাঠিয়েছি।

👉 এখানে আসল জিনিস হলো, ভিজিটর যদি প্রথমবার সেলস না করে, ফলো-আপ ইমেলের মাধ্যমে পরবর্তীতে সেলস হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি থাকে।


কত ইনভেস্ট করেছিলাম আর কত রিটার্ন পেলাম?

  • মোট ইনভেস্ট করেছি: $447

  • মোট ক্লিক পেয়েছি: 828 (প্রায় 800 ইউনিক ক্লিক)

  • ইমেল লিস্টে যুক্ত হয়েছে: 54+ সাবস্ক্রাইবার

  • প্রোডাক্ট: AI Lead Automator (একটি সফটওয়্যার)

  • মোট কমিশন জেনারেট হয়েছে: $3781

  • নেট প্রফিট: $3340+

  • ROI: প্রায় 8.5X রিটার্ন


 মূল শিক্ষাগুলো

  1. ইমেল লিস্ট ছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লং-টার্মে সম্ভব নয়।

  2. Facebook/Google Ads খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ এবং খরচও বেশি, তাই শুরুর জন্য সলো অ্যাডস ভালো অপশন।

  3. শুধু ডিরেক্ট সেলস নয়, লিস্ট বানিয়ে ফলো-আপে প্রোডাক্ট প্রোমোট করলে দীর্ঘমেয়াদে রেজাল্ট আসে।

  4. সঠিক প্রোডাক্ট বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ – বিশেষ করে যেগুলোতে হাই টিকেট আপসেল থাকে।


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটা “Quick Money Scheme” না। এটা একটা Proper Business Model। ধৈর্য, টেস্টিং আর লার্নিং চালিয়ে যেতে হবে।
আমি চেষ্টা করছি আমার প্রতিটি এক্সপেরিমেন্ট, লস আর প্রফিট সব আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে। যদি আপনারাও সিরিয়াস হন এই ব্যবসা নিয়ে, তাহলে অবশ্যই শিখতে থাকুন আর নিজের ইমেল লিস্ট গড়তে শুরু করুন।

সোর্সঃ https://youtu.be/XWNsjmvdrT8

এছাড়া পড়ুনঃ 

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দিনে $100+ আয় করার উপায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top